স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইউরোপের প্রতিটি দেশে এখন এক থেকে দেড় লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। সেই দিক দিয়ে আমরা এখনো ভালো আছি। করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছি। বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর বিপিএস ভবনে ‘কোভিড-১৯ সাপোর্ট’ এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স ও কম্পিউটার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালকে ২টি অ্যাম্বুলেন্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সেকে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার দেওয়া হয়।
ওমিক্রন প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান করতে হবে। কেউ যদি মাস্ক না পরে ও স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশ দেওয়া আছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনা যেভাবে বাড়ছে তা উদ্বেগজনক। এভাবে বাড়লে হাসপাতালের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। মৃত্যুর হার কম আছে টিকার কারণে। কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। রোগী যদি ১ লাখ হয়ে যায় তাহলে বেড নিয়ে সংকট দেখা দেবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘৬৫ লাখ স্টুডেন্টদের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের আগেই বলেছিলাম টিকা দিতে, কিন্তু তারা তেমন সারা দেয়নি। যখন বলেছি শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারবে না, তখন তারা ছুটে আসছে। শিক্ষার্থীরা যখন যেখান থেকে টিকা নিয়েছে, সেখান থেকেই টিকা নিতে হবে। রাজনৈতিকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান বন্ধ করার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, কোনো অনুষ্ঠান বন্ধ করার ক্ষমতা আমাদের মন্ত্রণালয়ের নেই। এটা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমাদের কাজ শুধু পরামর্শ দেওয়া, আমরা সেটাই করছি।