মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়ায় বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্টরা। বৈঠক শেষে যত আসন অন্তত তত যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মালিকরা। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। আজ বুধবার বিকেলে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়।
মালিকদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমরা বাস ভাড়া বাড়াতে চাই না। কিন্তু অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করা হলে বাসের সংকট দেখা দেবে। তাই যত আসন তত যাত্রী পরিবহন করলে বাসের সংকট দেখা দেবে না, ভাড়াও বাড়াতে হবে না। গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ জানুয়ারি থেকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে এ নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করেন বাস মালিকরা।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বৈঠকে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রস্তাব করেছেন, বিধিনিষেধ চলাকালে বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা হলে মালিকদের লোকসান গুনতে হবে না। ৫০% যাত্রী পরিবহন করা হলে রাজধানীতে পরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ অবস্থায় বাস ও বাস টার্মিনালে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এখন যেভাবে বাস ও মিনিবাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে সেভাবে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা উচিত। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এ প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এখন বাস ভাড়া বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। কারণ গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসে যাত্রী পরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তারা সবশেষে একমত হয়েছেন যে ভাড়া বাড়ানো হলে যাত্রীদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করা হবে এবং এটি এ মুহূর্তে বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।