করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৫১৫ জন।
মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৪২৩ জনের মৃত্যু হল।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৯৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৯টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৩২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯২২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের ৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের ও ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৪২৩ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৬৮ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৫ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৮৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৮৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৫৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৭১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৪৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬০ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।