শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে বিএফডিসিতে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আদাজল খেয়ে নেমেছেন জায়েদ খানের বিপরীতে পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ।নির্বাচনের পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন কাঞ্চন প্যানেলের এ সদস্য। এর পর শিল্পী সমিতির নির্বাচনি গঠনতন্ত্রবহির্ভূত ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।
নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনার জন্য আসে। চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এখন কী জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল হয়ে যাবে? এ নিয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের বক্তব্য এখনবধি পাওয়া যায়নি। সিদ্ধান্ত পেতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।
বাদী ও বিবাদী উভয়কে নিয়ে শনিবার বিকালে বিএফডিসিতে বসবেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বেশ খুশি বাদী চিত্রনায়িকা নিপুণ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগগুলো আমলেই নেয়নি। বাধ্য হয়ে মন্ত্রণালয়ে গেছি আমরা। ডকুমেন্টসহ যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছিলাম, তাতে পুরো নির্বাচনের ফলই বাতিল হওয়ার কথা বলেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমরা বলেছি— যে দুই পদ নিয়ে অভিযোগ, ওই দুই পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। পরে অভিযোগের ডকুমেন্টগুলো দেখে ওই দুজনের ব্যাপারে আপিল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’