প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক বসেছে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে। রবিবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনে গঠিত সার্চ কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে বৈঠক চলছে। এতে অংশ নিয়েছেন বৈঠকে কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন।
বৈঠকে আরও আছেন সার্চ কমিটির কর্মসম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ-সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শনিবার বৈঠক ডাকেন। রাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বৈঠক আহ্বানের তথ্য জানানো হয়। এই সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে রাষ্ট্রপতির কাছে। সেখান থেকে পাঁচজনকে বেছে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
এবারই প্রথমবারের মতো আইনের মাধ্যমে গঠিত সার্চ কমিটি দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠনের সুপারিশ নেওয়া হচ্ছে। এর আগের দুবার রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে পাওয়া প্রস্তাবের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। এবারও সংলাপ করেছেন। বেশির ভাগ দলই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানায়। গত ২৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাস হয়।
এই আইনে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই সার্চ কমিটিকে সুপারিশ পাঠাতে হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।