“শিল্প বাঁচাও, শ্রমিক বাঁচাও” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো: লোকমান হাকিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানীগুলো এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এদেশীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর কাছে সুবিধা পেয়ে বিড়ির উপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে বিড়ি মালিকরা করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।”
বক্তরা আরো বলেন, “বিদেশী সিগারেট কোম্পানীগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুল্ক বৃদ্ধি করছে। এমনকি বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
এসময় আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেখে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া, কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে আইনী প্রক্রিয়ায় নকল বিড়ি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও মালিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।