আ হ ম আব্দুল্লা হারুণকে চাকরি থেকে অপসারণের করে একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ আদেশে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাক্ষর করেছেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আ হ ম আব্দুল্লা হারুণ (বর্তমানে সহকারী প্রকৌশলী (পুর), প্রকৌশল বিভাগ, অঞ্চল-৪), বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) ও নিজ দায়িত্বসহ একই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজ চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকাকালীন অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন না করে ভৌতিক এবং অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে ডিএসসিসির আর্থিক ক্ষতি করেছেন।
তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ডিপোজিট ওয়ার্কের আওতায় কমলাপুর টিটি পাড়া থেকে দক্ষিণে কদমতলী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রেল লাইনের দুপাশে জমানো বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ অপসারণ এবং ডাম্পিং করার কাজটিকে ৩ গ্রুপে ভাগ করে ২৮ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন। আহ্বানকরা দরপত্রে বিভিন্ন অনিয়ম এবং কাজের পরিধি ও নির্ধারিত ব্যয়ের মধ্যে বিস্তর অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়।
সেখানে মোট বর্জ্য মাটি ও রাবিশ ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টন। যার মধ্যে বর্জ্যের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন। অবশিষ্ট ১ লাখ ১৫ হাজার টন হবে মাটি ও রাবিশ, যা বিক্রয়যোগ্য। অথচ মাটি ও রাবিশ ডাম্পিং বাবদ ওই দরপত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও রাবিশ বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় এক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করপোরেশন ও জনস্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি এবং ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এমন সব অভিযোগের কথা উল্লেখ করে আ হ ম আব্দুল্লা হারুণকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর ৬৪ (২) বিধি অনুসারে জনস্বার্থ ও করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন নগদ প্রাপ্য হবেন। এবিষয়ে হারুনের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।