সাংবাদিকরাও সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন। মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরা পেনশনের দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমাজের সব মানুষ এই পেনশন সুবিধার আওতায় আসবে, সাংবাদিকরাও আসবে।
মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনেকে বাস্তবায়ন করেছে, আবার অনেকেই করেনি। নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে। আমি মনে করি, সবার নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা উচিত। আমরা এ নিয়ে কাজ করবো।
‘আসলে সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করার বাতিক থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি’ বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটিতে আপনাদের কোনো ‘সাজেশন’ থাকলে বলুন। সেই পরিকল্পনা যখন প্রকাশ করা হবে সেখানে কোনো ভালো ‘সাজেশন’ থাকলে অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এরকম একটি ভালো উদ্যোগের কেন সমালোচনা করছেন? সবকিছুতেই না বলার যে বাতিক, সেটাই তাদেরকে পেয়ে বসেছে। তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না। আশা করবো তারা এই না বলা রোগ থেকে মুক্তি পাক।’
‘গণমাধ্যম জগতে বিরাজমান কয়েক দশকের পুঞ্জিভূত বিশৃঙ্খলা দূর করে ধীরে ধীরে শৃঙ্খলা আনতে আমার চেষ্টায় অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’, বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটররা টেলিভিশন মালিকের কাছে দাবি করতো যে বেশি টাকা না দিলে সিরিয়াল যাবে পঞ্চাশে, টাকা দিলে সিরিয়াল যাবে পাঁচে। সেখানে সিরিয়াল ঠিক করে দেয়া হয়েছে। এখন টেলিভিশন মালিকদের আর অপারেটরদের দ্বারস্থ হতে হয় না। বিদেশি মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন চলে যাওয়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেছে বিদেশি টিভি’র ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার কখনোই সম্ভব না, সেটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন। আজ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সমস্ত সাংবাদিক সাহায্য পাচ্ছে, অনুদান পাচ্ছে- এক্ষেত্রে কে কোন দলের কে কোন মতের সেটি দেখা হচ্ছে না। যারা সরকারের সমালোচনা করেন তারাও সাহায্য পাচ্ছেন। করোনাকালে দেশের সকল অঞ্চলের সাংবাদিকরা সহায়তা পেয়েছে। সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরাও যাতে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পায় তার জন্য নীতিমালা হচ্ছে, সেই নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে, জানান তিনি।
বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-বিসিটিআই জার্নালের বঙ্গবন্ধু সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং বিসিটিআই’র প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ। মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।