শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’ আজ মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসের’ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল পাঁচ নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার জয়িতা পদক-২০২২ পেয়েছেন মোছা. সানজিদা আক্তার শিমু, ড. হোসনে আরা আরজু, খোশনাহার বেগম, জেসমিন আক্তার ও মোছাৎ রোকেয়া বেগম।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডা. আ.এ.মো. মহিউদ্দিন ওসমানী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কন্যাশিশুর শিক্ষা, বাল্য বিয়ে নির্মূলসহ নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য নিরসনের আইন প্রণয়ন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দীপু মনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে থাকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের ওপরে বাংলাদেশের স্থান।
মন্ত্রী বলেন, আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়দি পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করা হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে উড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।