রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অসচ্ছল কিডনি রোগীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘দেশের অনেক হাসপাতালে এ রোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিডনি রোগীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ‘
আগামীকাল (১০ মার্চ) ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। এবারের বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।
আবদুল হামিদ বলেন, কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বর্তমানে দেশে কিডনি রোগের প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল, স্থূলতা ইত্যাদি কিডনি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, কিডনি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শিশু, যুবক ও বৃদ্ধ সবার ক্ষেত্রেই সুস্থ কিডনির গুরুত্ব অপরিসীম।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রায় ৪০-৫০ হাজার লোক ডায়ালিসিসের মাধ্যমে জীবন ধারণ করছে। বাণীতে রাষ্ট্রপতি ‘বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও ক্যাম্পস কর্তৃক ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।