ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, যে ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ কেনা হয়েছিল, সেখান থেকে জব্দ করা বাকি সিরাপ পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় ওষুধে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
আজ সোমবার মহাখালীতে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি জানান, ওই দোকান থেকে একই ব্যাচের (নম্বর-৩২১১৩১২১) আটটি সিরাপ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘গণমাধ্যমে খবরের পর তদন্তের জন্য দুটি দল গঠন করে কোম্পানির কারখানা ও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে যাওয়া দল আশুগঞ্জের যে দোকান থেকে কেনা ওষুধ সেবনের পর শিশু দুটির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে, সেই দোকান থেকে আটটি বোতল জব্দ করে। এ ছাড়া একই সিরিয়ালের আরও দুটি ব্যাচের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সারাদেশ ও কারখানা থেকে।’
ইউসুফ বলেন, ‘কিন্তু ঘটনার পরপরই যে বোতলের ওষুধ খেয়ে শিশু দুটি মারা গেছে, ওই বোতল স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সিআইডি নিয়ে গেছে। সিআইডির পরীক্ষার পর প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে নাপা সিরাপ খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা। এজন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় কোম্পানির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়। তারা বলেছেন একই সিরিয়ালে তারা ৮২ হাজার বোতল নাপা সিরাপ তৈরি করেছে। যেগুলো বাজারে রয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যার কথা কোম্পানি জানতে পারেনি। সেখান থেকেও সংগ্রহ করা বোতল পরীক্ষা করে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেছে।’ তদন্ত পুরোপুরি শেষ না করে কেন সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘নাপা সিরাপ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। সেটা পরিষ্কার করার জন্যই এ সংবাদ সম্মেলন।’