রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

চার মাস হলে মিলবে বুস্টার ডোজ, লাগবে না মেসেজ

স্টাফ রিপোর্টার:
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
  • ১৭১ পাঠক পড়েছে

দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর চার মাস পার হলেই এখন থেকে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে যদি কেউ মোবাইলে এসএমএস না পেয়ে থাকেন তাহলে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্ড দেখিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি। বুধবার রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রােগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়ােজিত ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে অবহিতকরণ সভায় তিনি এ তথ্য বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার নিয়ম ছিল দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পরে বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে। কিন্তু ডব্লিউএইচও বলেছে ৬ মাস না, চার মাস পরেই বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে। আমরা আহবান করব যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া চার মাস হয়ে গেছে তারা এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। আপনারা আসবেন বুস্টার ডোজ নেবেন এবং আরও বেশি ভালো থাকবেন। ’

যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর চার মাস পার হয়ে গেছে এবং এখনো এসএমএস পান নাই তাদের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়ার মেয়াদ চার মাসে এনেছি। এখন যদি কেউ এসএমএস না পায় তাকেও বুস্টার ডোজ দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্ড দেখিয়ে তিনি বুস্টার নিতে পারবেন।

৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকার আরেকটি গণটিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ মিলে তিন কোটি ২৫ লাখ টিকা দেব। সরকারের কাছে টিকার কোনো অভাব নেই বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ৮ কোটির ওপরে এখনো টিকা মজুদ আছে। ইতিমধ্যে ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ দিয়েছি। ৯ কোটি ৪ লাখ দিয়েছি দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ দিয়েছি প্রায় ৫০ লাখ। সব মিলে আমাদের হয়ে গেছে প্রায় ২২ কোটির বেশি টিকা দেওয়া।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মােহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লােকমান হােসেন মিয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধ্যাপক ডা. মীরজালী সেরিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, প্রশাসন, অধ্যাপক ডা. মাে. শামিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, এমএন্ডপিডিসি, সিডিসি ডা. মাে. আবুল কালাম আজাদ, ফাইলেরিয়াসিস নিমূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580