সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সংসদে ফখরুল ইমাম জানতে চান, ‘প্রধানমন্ত্রী অনুগ্রহ করিয়া বলিবেন কি, বর্তমানে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাইয়া চলিয়াছে; যেই কারণে সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখিতেছে; তাই বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করিবার লক্ষ্যে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছে কিনা; করিলে তাহা কী?’
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ সব ধরনের পণ্যসামগ্রীর মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণপূর্বক তা সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশের সব সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের কাছে রমজান শুরুর আগে ও রমজানের মাঝামাঝি মোট দুবার টিসিবির পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে টিসিবির পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হবে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় আগের মতো ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের বদনাম এদেশের মানুষই করেছে। তাদের কথাতেই বিভ্রান্ত হয়েই এ বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। র্যাবে যারা অন্যায় করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী, ‘রাশিয়া আমাদের বন্ধু-প্রতীম দেশ। মুক্তিযুদ্ধে তারা বাংলাদেশের পাশে ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন এসেছে বলেই ভোট দেওয়া হয়েছে।’