বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ভূয়া ঠিকানা দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য

আক্তারুজ্জামান রকি
  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৭৬২ পাঠক পড়েছে

ক্রীড়া পরিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে বখতিয়ার খলজি

ভূয়া ঠিকানা দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য

দেশের তৃনমুল পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়নে সরকারি ক্রীড়া পরিদপ্তর গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিদপ্তর। কিন্তু এই ক্রীড়া পরিদপ্তরের জিম্মিদশা নিয়ে আজকের সংবাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ চিত্র। ক্রীড়া পরিদপ্তরের একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী দেশের ক্রীড়া পরিদপ্তর নিয়ন্ত্রন করছেন।

নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে পরিদপ্তর নির্ধারিত টুর্নামেন্ট খরচ হাতিয়ে নেয়াসহ খেলোয়ারদের খেলা সরঞ্জাম কেনার টাকাও খেয়ে নেন তিনি। ক্রীড়া পরিদপ্তরের সেই রাঘব বোয়াল হলেন পরিচালক ও উপ পরিচালকের একান্ত সহকারি বখতিয়ার খলজি । তার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মনোভাব হলেও পরিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা ঝামেলায় না জড়িয়ে এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতি ঘটনা এড়িয়ে যান।

কাগজপত্র জালজালিয়াতি করে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ক্রীড়া পরিদপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রন করছেন ওই ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তার এসকল অনিয়ম নিয়ে কথা বললে বিভিন্ন জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তাদের ধমকের সুরে কথা বলেন তিনি। গত ১৭ অক্টোবর পরিদপ্তরের ২৫জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওই নিয়োগে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে আপন ভাইসহ ১০ জনকে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

কোঠা নেই কিন্তু সেই সকল জেলার প্রার্থীদের ১৫/২০লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে চাকুরীতে নিয়োগের ববস্থা করেছেন। এ কাজে তিনি ওই সকল প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের জেলার ঠিকানা জালিয়াতি করেছেন। সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদানকৃত মনজুরুল হাসানের ভোটার আইডি তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয় রংপুর জেলার কাউনিয়া থানাধীণ সারাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তালেবটারী গ্রামের মনের উদ্দিনের বাড়ি।

বাস্তবেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু চাকুরী নেওয়ার ক্ষেত্রে বখতিয়ার খলজী গং দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পিতা ও মাতার নাম ঠিক রেখে ঠিকানা পরিবর্তন করে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের খাসদেলদারপুর গ্রাম স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়। একজন ব্যক্তির দু’টি স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে সন্দেহ হলে অনুসন্ধান শুরু করে আজকের সংবাদ।

বিষয়টি অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া যায়, মনজুরুলের বিষয়ে খাষপুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তদন্ত করে একটি লিখিত দেন যে,খাসদেলদারপুর গ্রামে এই নামে কেউ থাকে না এবং তিনি উক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের চিনেন না। বখতিয়ার খলজি পরিচালকের দপ্তরে চাকুরী করার সুবাদে সকল অর্থ ছাড় ও চাকুরির বিষয়ে তিনি সারাদেশে যোগাযোগ করেন। আর এই সুত্র ধরে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট।

এসব বিষয়ে বখতিয়ার খলজির বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি আজকের সংবাদকে জানান তার সব বিষয়ে পরিচালক সাহেব বক্তব্য দিবেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে প্রশ্ন পরিচালক কিভাবে বক্তব্য দিবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন স্যার সব জানেন। জেলা প্রতি অনুদানের টাকা ভাগ চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। এবিষয়ে পরিচালক কে এম আলী রেজা জানান,এ সপ্তাহে ব্যস্ত থাকবো আগামী সপ্তাহে যোগাযোগ করে আসেন।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580