রাজধানীর পাঁচ স্টেশনে ট্রেনের ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ৮টা থেকে। একেকটি স্টেশন থেকে একেকটি গন্তব্যের টিকিট বিক্রি হবে। এবার আগাম টিকিট বিক্রিতে কাউন্টারে চাপ কমাতে এ নিয়ম করা হয়েছে। আগাম টিকিট পেতে অনেকে শুক্রবার রাত থেকে, মাঝ রাতে সেহেরির পর লাইন দিয়ে রেলস্ট্রেশনে বসে আছেন।
করোনা পরবর্তী সময়ে এবারের ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপ হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে টিকিট কালোবাজারিরাও আরও সক্রিয় থাকবে। তবে র্যাব জোর নজরদারি বজায় রাখবে টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে। এবার একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। টিকিট কেনার সময় প্রত্যেক যাত্রীর জন্য এনআইডি কার্ড বা জন্মসনদ অবশ্যই কাউন্টারে দেখাতে হবে।
রাজধানীর পাঁচ জায়গায় পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট:
কমলাপুর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে পশ্চিমাঞ্চল ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকিট। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পাওয়া যাবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মিলবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে রাজধানীর গুলিস্তান ফুলবাড়িয়ায় (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন)।
টিকিট কালোবাজারি বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, এবার একটি টিকিটও কালোবাজারি হবে না। পুলিশের পক্ষ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া স্টেশনের টিটি, টিএস, আনসার ও পুলিশের সদস্যসহ সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
কমলাপুর স্টেশনের নিরাপত্তাসহ টিকিট কালোবাজারি বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার ঢাকা টাইমসকে বলেন, এবার ঈদে টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠকে বসা হয়েছে। এ ছাড়া রেলের স্টাফদেরও এ বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের কালোবাজারি না হয়।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবার কমলাপুর ছাড়াও আরও চার স্থান থেকে ঈদের জন্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। সব স্থানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলের স্টাফদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। ঈদে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ৩৬ জোড়া ট্রেন। মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৬৭২টি। অর্ধেক টিকিট কাউন্টার থেকে আর অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি হবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে। যাতে আসন সংখ্যা এক হাজার ৫০০। এই দুই ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে বলে জানা গেছে।