সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানের ফলে আলোচিত নানা দুর্নীতির চিত্র সামনে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে আঞ্চলিক অফিসগুলোর কর্মকর্তা আর কর্মচারীরা অনেকদিন ধরে এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত। পুর্বের উপপরিচালক (বর্তমানে পদন্নোতি প্রাপ্ত) সাইদুল ইসলাম তাদের মধ্যে অন্যতম।
পাবনা জেলার সাথিয়ার সাইদুল ইসলাম পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চাকরির সুবাদে অল্প দিনেই অঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। তিন নিজ এলাকা সাথিয়ায় ১০ বিঘার পুকুর,কাশিয়ানী বাজারে ভবনসহ ফার্ম,নরসিংদীতে ইন্ডাষ্ট্রি এবং উত্তরায় ফ্ল্যাটসহ বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদের মালিক বলে দুদক সুত্রে জানা যায়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একটি সুত্র জানায়, সাইদুল এর বাইরে আরও অনেক সম্পদের মালিক।
অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ইতোপুর্বে উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক থাকলেও কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে উপ-পরিচালক নুরুল হুদাকে নতুন করে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেন। নতুন নিয়োগকৃত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পুর্বের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
রোহিঙ্গাদেরে নামে হাজার হাজার পাসপোর্ট ইস্যু, ভারতীয় নাগরিকদের নামে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদান, একই ব্যক্তির বিভিন্ন নামে একাধিক পাসপোর্ট ইস্যু, দালাল-সিন্ডিকেট প্রতিপালন, পদোন্নতি প্রদান, প্রাইজ পোস্টিং, পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পসহ বিভিন্নভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মরত দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তারা। সাইদুল হল এই সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য। এসব বিষয়ে সাইদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।