অর্থনৈতিক, সামাজিক, জন্মগত, ভৌগোলিক প্রভৃতি কারনে চরমভাবে বৈষম্যের শিকার যারা তারাই প্রকৃত অর্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিশেষ করে সক্ষম ও অসহায় মানুষের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য বিদ্যমান যা অনভিপ্রেত। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী জীবনমান উন্নয়নে বৈষম্য হ্রাস করতে হবে। উন্নয়ন ও সমাজের মূল স্রোতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য। প্রত্যেক মানুষের কাঙ্খিত জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সামষ্টিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই এসডিজি-২০৩০ এজেন্ডা প্রণীত হয়েছে। সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরী। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে ও ওব্যাট হেল্পার্সের সহযোগিতায় ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম উদ্দিন, এফসিএ,এফসিএমএ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ১ মার্চ এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার এর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন ওব্যাট হেল্পার্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আকতার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওব্যাট হেল্পার্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোশতাক রায়হান হিমাদ্রী, ওব্যাট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইসরাত পারভীন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, ইকো ফ্রেন্ডসের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়মুর রশীদ বাবু, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সদস্য জি.এম তাওসিফ, তারুণ্যের প্রতীক বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ খান সাকিব, ওব্যাট থিঙ্ক ট্যাংক’র সভাপতি ইমরান হোসেন, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সদস্য আব্দুর রহমান রবিন প্রমুখ। নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, কাউকে পিছিয়ে রেখে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ (এসডিজি) বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। স্থানীয় পর্যায়ে দারিদ্র বিমোচন, নিরক্ষরতা দুরীকরণপূর্বক মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসার, নিরাপদ খাদ্য, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিতকরণ, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তারুণ্যের বহুমাত্রিক দক্ষতা সৃজনের মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নে এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সোহেল আকতার খান বলেন, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও অন্যান্য বিভিন্ন অংশীদারদের সমন্বয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করলে সামাজিক কল্যাণের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করলেই এসডিজি বাস্তবায়ন সহজতর হবে।