তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে একুশ বছর ৭ই মার্চের ভাষণ শোনা যায়নি। তৎকালীন শাসকরা নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু ৫০ বছর আগে যেমন এই ভাষণের আবেদন ছিল এখনো এই ভাষণের আবেদন মানুষের কাছে রয়ে গেছে।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত `বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির মুক্তির সড়ক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা ৭ই মার্চ পালন করছেন তারা কোন দুরভিসন্ধি নিয়ে পালন করছেন জানি না তবে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। সত্য ইতিহাস মেনে নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে রাজনীতি করি। বিকৃত ইতিহাস মুছে গেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিঘাংসা অহিংসা পরিহার করতে হবে। ইতিহাস বিকৃতির রাজনীতি আমরা যেন না করি। সত্য ইতিহাস মেনে নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে আসুন আমরা রাজনীতি করি। খল নায়ককে নায়ক বানানোর পথ থেকে আপনারা সরে আসুন।
বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মধ্য দিয়েই কার্যত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাকে অভিযুক্ত করা যায়নি। এটাই এই ভাষণের মাধুর্য। শত চেষ্টা করলেও বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। এই একটি ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছে, উদ্দীপ্ত করেছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। এখন এদেশে খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, কেউ না খেয়ে থাকে না, ছেঁড়া কাপড় পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অন্নবস্ত্রের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। গৃহহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন। প্রায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। এই সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এবং কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক সিটি এডিটর অজিত কুমার সরকার।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ স ম আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাব পরিচালনা কমিটির সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া।