ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর নাম, পরিচয়, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রের পরিচয় গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ফর ওয়াচ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে করা এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
উচ্চ আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে এক মাসের মধ্যে তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যানকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার নারী বা শিশুর ছবি, নাম, পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু আইনের নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে না। প্রায়শই দেখা যায়, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর নাম, পরিচয় প্রকাশ হচ্ছে। এতে করে ভুক্তভোগীর যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। এসব যুক্তিতে এ রিট আবেদনটি করা হয়।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে ভুক্তভোগীদের নাম, পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা বাস্তবায়নে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করা হয়। এটি শুনানির জন্য বেশ কিছুদিন ধরে কার্যতালিকায় আসছিল। আজ ছিল নারী দিবস। আমরা এ দিবসের বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতের কাছে শুনানির আরজি জানাই। আদালত তাতে সায় দেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আদেশ ও রুল দেন।