সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে সাংবাদিক মিজান মালিকের লেখা বহুল প্রত্যাশিত ‘খেয়া’ নামের গানটি। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়েই শুধুই কাঁপাচ্ছে দুর্দান্ত এ গানটি। ‘আমার দিন চলে যায় পথে পথে/রাত কাটে তার হিসাব মেলাতে’ সাংবাদিক মিজান মালিকের লেখা বহুল প্রত্যাশিত ‘খেয়া’ গানটির শুরু এভাবেই। মিজান মালিকের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি শনিবার রিলিজ পেয়েছে। করোনাকালে লেখা তার বেশ কয়েকটি গানের মধ্যে ‘খেয়া’ শিরোনামে গানটি উল্লেখযোগ্য।
গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের আলোচিত শিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বী। গানের সুর করেছেন আরেক সংগীত সাধক খালেদ মুন্না। গানের সংগীত করেছেন খ্যাতিমান সঙ্গীত পরিচালক জাহিদ বাশার পংকজ। ইউটিউবে মুক্তির পর পরই গানটি লুফে নিয়েছেন দর্শক- শ্রোতারা। প্রথম দিনেই ভিউয়ার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তার পরের দু’দিনে প্রায় পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
যারা গানটি দেখেন তাদের মধ্যে একজন সরোয়ার বাবর চৌধুরী লিখেছেন : গানটি মনোযোগ দিয়ে সপরিবারে দেখেছি! মন ছুঁয়ে যাওয়া একটি ব্যাপার ছিল গানের চিত্রায়নে! গানের কথার ‘ভাব-দর্শন’ এর সাথে একাকার..পাঞ্জাবি গায়ে ত্রস্ত পদক্ষেপে উদাস লেখকের আনমনা হেঁটে চলা! ঢাবি ছাত্র আহমেদ নয়ন লিখেছেন : সাতবার শুনলাম গানটি। শোনার ইচ্ছে শুধু হাত বাড়িয়ে রাখে আরও। এভাবেই হাজারো কমেন্ট আসতে শুরু করেছে।
এ গানে একদিকে যেমন ফুটে উঠেছে জীবনবোধ, জীবনতত্ত্ব; তেমনি দিনের শেষে মানুষ যে একা এবং তার অঙ্ক মেলানো খুব জটিলÑ তার একটি অস্ফুট বেদনা প্রকাশিত হয়েছে। কেউ হয়তো ‘খেয়া’ গানটিকে জীবনমুখীও বলতে পারেন। আবার কেউ গানের ভেতর জীবন থেকে সময় চলে যাবার একটি হাহাকার খুঁজে পাবেন। মিজান মালিক বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরে ইনভেস্টিগেশন এডিটর।
‘খেয়া’ গানের সৃজনশীল লেখক সাংবাদিক মিজান মালিক বলেন, আমরা কমার্শিয়াল গান শুনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি কথিত কমার্শিয়াল ধারার বাইরে এসে জীবনের নানা আঙ্গিক নিয়ে গান লিখছি। হ্যাঁ, তাতে বিনোদন যেমন থাকবে, আবার ভাবনার জায়গাটাও থাকছে। মূলত আমি চাই, গানে একটি নতুন ধারা তৈরি করতে। তার প্রথমটি ছিল করোনাকালে লেখা ‘মতবাদ’ গানটি। গানটি গেয়েছেন তারকা শিল্পী রবী চৌধুরী। ‘খেয়া’ গান ছাড়াও ব্যতিক্রমধর্মী আমার আরও কিছু গান শিগগিরই রিলিজ পাবে।
‘খেয়া’ গানের শিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বী বলেন, মিজান মালিক ভাইয়ের লেখার ধারা একেবারে ব্যতিক্রম। তিনি সময়ের গান লেখেন। জীবনের গান লেখেন। তার গান গাইতে পেরে আমার নিজেরও ভালো লাগছে। আমি কথা দিতে পারি, ‘খেয়া গানটি টিন এজার থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের ভালো লাগবে। তার অন্য যে গানগুলো গেয়েছি, সেগুলোর স্বাদও আলাদা।’