বাংলাদেশে আজ পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।
পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও মোনাজাতের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মাদরাসা, খানকা, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন ওয়াজ মাহফিল, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা করা শুরু হয়। সেই হিসাবে আজ দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত হয়, ইসলাম ধর্মমতে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদের (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, এটি সেই রাত।
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মেরাজ’। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে, এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।