নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিজানুর রহমান বাদলকে। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান এক গ্রুপের নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাদলের গ্রেফতারের পর বসুরহাটজুড়ে বৃহস্পতিবার রাতভর কাদের মির্জাকেও গ্রেফতারের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা পৌরভবন ঘিরে রাখায় জনমনে এ আশঙ্কা দেখা দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এরপর গত ৯ মার্চ রাতে বসুরহাট পৌরভবনের পাশে আবারো ওই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আলা উদ্দিন নামের আরেকজন সিএনজিচালক নিহত হন।
আওয়ামী লীগের বিবদমান এই দুই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই পৌরমেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।