কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের ডান কানে অস্ত্রোপচার চলছে রাজধানীর একটি হাসপাতালে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার।কিশোরের বড় ভাই আহসান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহসান কবির জানান, কিশোরের কানের পর্দায় আঘাত পেয়ে গর্তের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এই কান দিয়ে শুনতে হলে ভেতরে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসাতে হবে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আজ সেটি বসানো হবে। অস্ত্রোপচারের ছয় মাস পর চিকিৎসকরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। কিশোরের চোখেও সমস্যা হয়েছে বলে জানান আহসান কবির। তিনি বলেন, কিশোরের চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখেও অস্ত্রোপচার করতে হবে।
গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং পাঁচ-ছয়জনকে অচেনা আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করে র্যাব-৩। মামলায় বলা হয়, ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ ফেসবুক পেইজ থেকে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা বা বিভ্রান্তি ছড়ানো বা এ উদ্দেশ্যে জেনেশুনে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও মুশতাক আহমেদ।
সায়ের জুলকারনাইন সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’-এর ‘সামি’ বলে জানা গেছে। গত বছরের মে মাসে কিশোর, মুশতাক ও দিদারুলকে লালমাটিয়া ও কাকরাইলের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মারা যান কারাবন্দি লেখক মুশতাক। দিদারুল জামিনে আছেন।
আর গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন ৪ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান কিশোর। মুক্তির পর গত বুধবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকের পর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন কিশোর।