মশকনিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
মঙ্গলবার সকালে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মাঠে পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, আজকে এখানে ১২শ মশকনিধন কর্মী কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে আসলেই এই সংখ্যক কর্মী কাজ করছেন কি না, তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাই একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে। আগে সনাতন পদ্ধতিতে একটি হাজিরা খাতায় তারা স্বাক্ষর করতেন। এখন সময় এসেছে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর হওয়ার। তাই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে মশকনিধন কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করব।
মশকনিধন কার্যক্রম বিষয়ে তিনি বলেন, মশার উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় আমরা সোমবার (১৫ মার্চ) ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। অভিযানে আমরা দেখেছি সিভিল এভিয়েশনের ভেতরে কোটি কোটি মশার লার্ভা। সেখানে আমাদের কেউ যেতে পারে না। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের পেছনে পূর্বদিকেও একই অবস্থা। আপনাদের ভেতরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে যেসব জায়গা, সেসব স্থানে মশা নিধনের দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে, বলেন মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, মশকনিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি আজ আমরা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলাম। ধাপে ধাপে আমরা অন্য এলাকাগুলোতেও এই কার্যক্রমের আওতায় আনব। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডেই মশকনিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করতে পারব।
বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।