বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

বইমেলা ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১
  • ২৩১ পাঠক পড়েছে

এ বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৃহস্পতিবার  বিকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাভাইরাস কারণে ভাষার মাসের পরিবর্তে স্বাধীনতার মাসে এবার শুরু হলো ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১’। বাঙালির প্রাণের এই মেলা চলবে ১৪ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২১ উৎসর্গিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে। এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’।

এ সময় অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদ ‘নিউ চায়না-১৯৫২’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মনোনীত সাহিত্যিকদের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য ‍পুরস্কার ২০২১ তুলেন দেন। যারা পুরস্কার গ্রহণ করেন- কবিতায় কবি মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়াজ শামীম, প্রবন্ধ সাহিত্যে বেগম আখতার কামাল, অনুবাদে সুরেশ রঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধে সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দোপাধ্যায়, আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী বিভাগে ফেরদৌসী মজুমদার এবং ফোকলোর বিভাগে হাবিবুল্লাহ পাঠান পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট; মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য একাডেমিতে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে।

বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন, শিশু কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য ১টি এবং সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকার-এর ১টি স্টল থাকবে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশুপ্রহর’ থাকছে না।

এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব প্রান্তে নতুন একটি প্রবেশ পথ করা হয়েছে। প্রকাশকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রমনা প্রান্তে একটি প্রবেশ পথ ও পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা। এবার এটা করা সম্ভব হয়েছে। সবমিলে সোহরাওয়ার্দীতে ৩টি প্রবেশ পথ ও ৩টি বাহির পথ থাকবে। প্রত্যেক প্রবেশ পথে সুরক্ষিত ছাউনি থাকবে, যাতে বৃষ্টি ও ঝড়ের মধ্যে মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।

বইমেলা ১৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

 

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580