সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

‘কাউন্সিলররা দখলে জড়িত থাকলে তার কাউন্সিলরশিপ থাকবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১
  • ২৮৭ পাঠক পড়েছে

খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারে মেয়র আতিকের অভিযানখালের উপর অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারে মেয়র আতিকের অভিযান
কোন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খাল দখল বা কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে তার কাউন্সিলরশিপ থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় কোন কাউন্সিলর দখল করেছেন, অবশ্যই সেই কাউন্সিলরের কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি দখলের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও কাউন্সিলরশিপ থাকবে না। আমি নিজে মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখব কাউন্সিলরকে কাউন্সিলরশিপ বাতিলের জন্য।’

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা-১১ সেক্টরের স্লুইচ গেইট খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নতুন খনন করা খালের উদ্বোধন শেষে মেয়র এ কথা বলেন। উত্তরা খিদির খাল দখলে গোল্ডেন মনির ও একজন কাউন্সিলরের নাম আসায় মেয়র এমন কঠোর বার্তা দিলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি একটি মেসেজ যে গোল্ডেন মনির যেভাবে দখল করেছিল জনগণের সহযোগিতায় আমরা সেটা উদ্ধার করেছি।

রাজউকসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতি নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, আপনাদের মানসিকতা পরিবর্তন করেন। শুধু প্লট বরাদ্দ দিলে হবে না, ঢাকা শহরে ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তারা একটার পর একটা প্লট বরাদ্দ দিয়ে দিচ্ছে অথচ কোন ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। খালের উপর বরাদ্দ দিচ্ছে খালের বিষয়টি ভাবতে হবে। খাল উন্মুক্ত রাখতে হবে। খাল ভরাট করলে চলবে না।

তিনি বলেন, সরকারি সকল সংস্থার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে কোন কিছুর অনুমতি দেওয়ার আগে সিএস ম্যাপ, আরএস ম্যাপ দেখুন, মহানগর জরিপ দেখুন তারপর চিন্তাভাবনা করবেন জায়গার বরাদ্দ দিবেন কি দিবেন না। আপনারা হুট করে দিয়ে দিবেন আর জনগণের ভোগান্তি হবে- এটা অত্যন্ত কষ্টকর। আপনারা সরেজমিনে এসে দেখে তারপর চিন্তাভাবনা করবেন কোথায় প্লট বরাদ্দ দেবেন।

এ সময় মেয়র উপস্থিত সকলকে দেখান- দেখুন কিভাবে একটা রাস্তা সরু হয়ে গেছে। আমার অবাগ লাগে কিভাবে এই খালটা বন্ধ করে দিল। আমি আমাদের কাউন্সিলর এবং প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বলেছি এই খালের শেষ ম্যাপ দেখে কতটুকু চওড়া সেটা দেখে নির্ণয় করতে হবে। দরকার হলে পাশের হাসপাতালের ওয়ালটিও ভাঙতে হবে। হাসপাতালের পরিচালক সম্মতি দিয়েছেন। তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন বলেন, অবশ্যই মেয়র সাহেব আমার এখানে যতটুকু জায়গা আছে আমি ছেড়ে দেবো। আমরা সকলের সহযোগিতায় এই উদ্ধার কাজ করতে পেরেছি এজন্য তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

মশা নিধনের বিষয়ে মেয়র বলেন, কোন ওষুধ পরিবর্তন করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি লাগে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি লাগে, ওষুধ প্রশান দপ্তরের অনুমতি লাগে। আমরা নতুন ওষুধ কেনার আগে সব ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। এটা অব্যহত থাকবে।

তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন মশার লার্ভা সৃষ্টির জন্য সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, মিল্ক ভিটা, আশিয়ান সিটিসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন প্রথম কোন মামলা করেছে। আমাদের কাছে সকলে সমান। কোন সংস্থাই তার দায়িত্ব অবহেলা করতে পারে না। মশক নিধনকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।

প্রসঙ্গত গত ১৬ মার্চ মঙ্গলবার খিদির খাল এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি খনন করে প্রবাহ ফেরানো হয়। তিন দিন আগেই এই খালের অস্বিত্ব ছিল না। খালে উপর একটি প্রতিষ্ঠান মার্কেট নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল। সেটি গুড়িয়ে দিয়ে নতুন করে খাল বের করেন মেয়র।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580