রাজধানী ঢাকায় বায়ু দূষণ আবারো বেড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঠেকেছে। বাতাসে ক্ষতিকারক বস্তুকণার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে জনগণ এখন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করার বিধান থাকেলেও দেশে কোনো সংশ্লিষ্ট সংস্থা এখন পর্যন্ত সতর্কতা জারি করেননি।
দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্ট (একিউআইসিএন) এর তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯ টায় রাজধানীতে বায়ু দূষণ ৪৬৯ পিএম-২.৫ তে গিয়ে ঠেকেছে।
একিউআইসিএনের রিপোর্ট অনুযায়ী , বৈশ্বিক মান অনুযায়ী বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ পিএম-২.৫ ছাড়িয়ে গেলে সেই দূষণকে বিপজ্জনক বলা হয়। বাতাসে এমন ক্ষতিকারক বস্তুকনার উপস্থিতি থাকলে যারা রাস্তায় বেশি চলা ফেরা করেন তারা যেকোনো সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক অপর এক বায়ু পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার তথ্য দিয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গড় দূষণ মাত্রায়ও বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে সংস্থাটি রাজধানীবাসীর জন্য এমন সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বাসার দরজা-জানালা সবসময় বন্ধ রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং এয়ার পিউরিফাই ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন আইকিউএয়ার।
আইকিউএয়ারের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে বায়ুর গড় দূষণ ১৬২ পিএম-২.৫। বায়ু দূষণে এরপরেই রয়েছে পাকিস্তানের অবস্থান, দেশটির গড় দূষণের মাত্রা ১৫৩ পিএম-২.৫। তৃতীয়তে রয়েছে ভারত, গড় দূষণের হার ১৪১ পিএম-২.৫। চতুর্থ স্থানে রয়েছে মঙ্গলিয়া তাদের গড় দূষণ ১২৮ পিএম-২.৫ এবং একই পরিমাণ দূষণ নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে দূষণ তালিকায় ৫৭তম অবস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। করোনা মহামারির কারণে লকডাউনে ঘরবন্দি ছিল রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ। তবে লকডাউন শেষে যেমন বেড়েছে যানবাহন চলাচল তেমনই কলকারখানা থেকেও নির্গত হচ্ছে দূষিত বায়ু। যার ফলে আবারো বাতাসে ক্ষতিকারক বস্তু কনার পরিমাণ বাড়ছে।