প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলের জয়টাই বাঁচিয়ে দিলো আর্সেনালকে। বৃহস্পতিবার ফিরতি লেগে অলিম্পিয়াকোসের কাছে ১-০তে হারলেও ৩-২ অ্যাগ্রিগেটে ইউরোপা লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে গানাররা। আরেক ইংলিশ জায়ান্ট টটেনহ্যামেরও সমীকরণটা সহজই ছিল। ক্রোয়েশিয়ান ক্লাব ডায়নামো জাগরেভের মাঠে হার এড়ালে কিংবা ১-০তে হারলেও মিলবে শেষ আটের টিকিট। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছিল টটেনহ্যাম। স্পারদের একাই হারিয়ে দিয়েছেন মিস্লাভ অরসিচ। এই ক্রোয়াট উইঙ্গারের হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে টটেনহ্যামকে হারিয়েছে ডায়নামো জাগরেভ। শেষ ষোলো থেকে বিদায়ের পর শিষ্যদের পারফরমেন্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টটেনহ্যাম কোচ হোসে মরিনহো।
আর্সেনালের ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য।
৫১তম মিনিটে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসকে এগিয়ে দেন মরোক্কান স্ট্রাইকার ইউসুফ এল-আরাবি। পরে আর গোলের দেখা পায়নি সফরকারী দল।
ডায়নামো জাগরেভের মাঠে পুরো ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে টটেনহ্যাম। প্রথমার্ধে গোল হজম করেনি স্পার্স। ৬২তম মিনিটে অরসিচ এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। ৮৩ মিনিটে অরসিচ আরো এক গোল করলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দল। ১০৬তম মিনিটে অরসিচ হ্যাটট্রিক করলে বিদায় ঘণ্টা বাজে টটেনহ্যামের। হারের পর স্পার্স কোচ মরিনহো ক্ষোভ ঝেড়েছেন শিষ্যদের উপর। তিনি বলেন, ‘আমার মনেই হয়নি তারা একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে জাগরেভ খেলেছে উজ্জীবিত ফুটবল। সবচেয়ে হতাশ হয়েছি দু’দলের মানসিকতার পার্থক্য দেখে।’