ঢাকা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের ধানমন্ডি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ওমেদার রানা আহাম্মেদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলিল দাতা-গ্রহিতা ও দলিল লেখকদের জিম্মি করে প্রতিদিন অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এছাড়াও ওমেদার রানা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী, পিওন ও নকল নবীশদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৭/৮বৎসর পূর্বে এই রানা রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে চা বিক্রি করতো। তখন ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের দুর্নীতিবাজ টাইপিষ্ট মতিউর রহমান (বর্তমান ময়মনসিংহের প্রধান সহকারী) সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল জলিলকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ধানমন্ডি অফিসের ওমেদার পদে নিয়োগ দেয়। তার কিছুদিন পরই ওমেদার রানা নানাভাবে জনহয়রানী করে দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। জনহয়রানী ও উৎকোচের অভিযোগে ওমেদার রানাকে ঢাকার তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার দিপক কুমার সরকার, আশুলিয়া অফিসে বদলী করে। ৩ মাস পর অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে পূনরায় রানা ধানমন্ডি অফিসে যোগদান করে অফিসটি ঘুষ দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। ধানমন্ডির সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুকের নামে দলিল প্রতি প্রতিদিন আদায়কৃত কয়েক লাখ ঘুষের টাকা সন্ধ্যার পর রানা সাব-রেজিস্টারের মালিবাগস্থ বাসায় পৌছে দেয়ায় তার সাথে রানার সখ্যতা বাড়ে। রানা এখন ধরাকে সরায় জ্ঞান করে সামান্য ভুলভ্রান্তি দেখিয়ে ও দলিল মূল্যের উপর ১% উৎকোচ আদায় অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সহকারীর সাথে তার অতিসম্প্রতি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এদিকে রানা ধানমন্ডি অফিসে ওমেদারী করে কয়েক কোটি টাকা অবৈধ উপার্জন করে হাতিরঝিল মহানগর হাউজিংয়ে ৩য় তলায় কেনা ১৮শ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। এই বিল্ডিংয়ে তার আরো একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া রামপুরা বনশ্রীতে ৪তলা বিলাসবহুল বাড়ির ও মালিক হয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুইয়ায় কিনেছেন প্রায় ৩০ একর জমি ও ৫টি দোকান। শুধু তাই নয় ৩টি হাইয়েছ মাইক্রো কিনে রেন্ট এ কার’এ ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। নিজে বিলাসবহুল প্রাইভেট কারে ও চলাফেরা করে থাকেন। এ ব্যপারে ওমেদার রানার সাথে এ প্রতিবেদকের মোবাইলে আলাপ কালে তিনি বলেন চা বিক্রেতা থেকেওতো কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমি ওমেদার হলে দোষের কি?