কক্সবাজার সদরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অবস্থিত হোটেলগুলো পাপের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সাইনবোর্ডধারী হোটেল এর আড়ালে এখানে চলে মাদকবাণিজ্য। ওপেন সিক্রেট’ চলছে ইয়াবা ও পতিতার হাট। সকাল-সন্ধ্যা হোটেল গুলোর চারিপাশে অপরাধীদের বিচরণ। বিশেষ করে রাত ১২টার পর চলে রমরমা ব্যবসা। যেন বাস টার্মিনাল এলাকা একটি মিনি পতিতালয়। এসব কাজে সরাসরি জড়িত রয়েছে অনেক মালিক ও কর্মচারী।
তাছাড়া পতিতা-খদ্দের খোঁজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশু-কিশোরদেরও। কমিশন ভিত্তিতে পতিতা ও মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে কিছু রিক্সা ও সিএনজি চালক। নিরাপদ এলাকা হিসাবে মাঝারী থেকে বড় মাপের ব্যক্তিরাও হোটেলগুলোতে গিয়ে তাদের আকাম-কুকাম সারছে প্রতিনিয়ত।তবে এদের কোন ভয় নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়,এসব হোটেলের মালিকরা প্রশাসনকে মাসিক চুক্তিতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে এসব অবৈধ ব্যবসা অনেকটা নির্বিঘেœ ও ঝামেলামুক্ত!কেবল টাকা দেয়ার হেরফের হলেই চলে মাঝেমধ্যে আয়েশী অভিযান।সব মিলিয়ে প্রশাসনের খামখেয়ালিপনায় হোটেলগুলো অপরাধ ও অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রের দাবী, এখন দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলছে হোটেলগুলোতে নানান অপকর্ম।হাত বাড়ালেই মিলছে বিভিন্ন দামের পতিতা ও নেশাজাতদ্রব্য। এসব কাজে জড়িত রয়েছে স্থানীয় রাঘববোয়ালরা।প্রতিদিন অপরাধ করেও রহস্যজনক কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।হোটেলগুলোর নিয়ন্ত্রক একটি চক্র থাকলেও অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা তারা।এ কারণে বাস টার্মিনালের হোটেলগুলো ‘পাপের স্বর্গ রাজ্য’-তে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, এই হোটেলগুলোতে আসেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও গাড়ির ড্রাইভার, আর এসব খদ্দের কাছে খুব সহজে পতিতা সরবারহ করে আশপাশের কিছু পতিতার দালাল,এখন প্রতিরাত বিরাতে পতিতার ঢল নামে এখানে।পতিতা ব্যবসাকে দেহ শিল্পে রুপ দিয়েছে অসাধু হোটেল মালিকরা।তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সিএনজি-রিক্সা চালকদের সাথে মোবাইল নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে চলে এ ব্যবসা।এসব হোটেল মালিকদের টার্গেট রোহিঙ্গা পতিতা সংগ্রহ করে হোটেল পরিচালনা করা।এভাবেই চলছে পতিতা এবং খুচরা মাদক নিয়ে হোটেলগুলো। এছাড়া ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে হোটেলগুলোতে রোহিঙ্গা পতিতার আনাগোনা বেড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান-বাস টার্মিনাল এখন পতিতার জোন বললে চলে। পাপের নতুন ঘাটি হিসেবে এখন একটাই পরিচয় বাস টার্মিনালের হোটেলগুলো। এই হোটেলের মালিকরা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ও অসাধু কর্মকর্তা ও দালালদের তত্ত্বাবধানে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা।সুত্র জানায়, এসব হোটেলগুলোতে প্রতিদিনই রোহিঙ্গা, স্কুল, কলেজ ছাত্রীদেরও এনে দেহ ব্যবসায় সম্পৃক্ত করা হয়।রেজিস্ট্রার খাতায় বোর্ডারের নাম-ঠিকানা লিখার নিয়ম থাকলেও তা মানেনা কেউ।বেপরোয়া ভাড়া বানিজ্য চলে হোটেলগুলোতে।কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হোটেল মালিকদের নেতৃত্বে গড়ে উঠে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।এই সিন্ডিকেট শুধুমাত্র পতিতা ব্যবসার সাথে জড়িত নয়।মাদকদ্রব্য, চোরাচালান,ইয়াবা সেবন নানা অপকর্ম তারা নিয়ন্ত্রণ করে।পর্যটক ছিনতাইয়ের সাথেও এরা জড়িত। তাদের সাথে জড়িত রয়েছে কিছু টোকাই শ্রেনীর লোকজনও।তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্হানীয় শিক্ষিত সমাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ,হোটেলগুলোতে মূলত কিছু স্হানীয় দালালদের হাত ধরে অনেকেই পতিতা জগতে পা রেখেছে সংসার ভাঙছে প্রবাসীদের।নষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতির জীবন।পতিাবৃত্তির কষাঘাতে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী।