যেকোনো মূল্যে অবৈধভাবে দখলে থাকা বনভূমি মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। রোববার আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ‘বন পুনরুদ্ধার উত্তরণ ও কল্যাণের পথ’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে সভাটির আয়োজন করে বন অধিদফতর।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বন দখলকারী এবং দখলে সহায়তাকারী উভয়ের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন বিভাগের যেসব কর্মী বন রক্ষায় আহত হবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। অন্যদিকে বন দখলে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় সরকার বনভূমি পুনরুদ্ধারে সফল হবে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কারণে জবরদখলকৃত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বনভূমির মধ্যে বড় একটা অংশ দখলমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নানাবিধ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সুন্দরবনের বৃক্ষ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত জাতীয় বন জরিপের তথ্যমতে, সুন্দরবনে মোট কার্বন মজুদের পরিমাণ ১৩৯ মিলিয়ন টন, যা ২০০৯ সালে ছিল ১০৭ মিলিয়ন টন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ অনুসরণ করে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার দেশের বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং বনায়ন কার্যক্রম জোরদার করেছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে টেকসই পরিবেশ ও বন উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন অধিদফতরের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ। প্রতিপাদ্য বিষয় উপস্থাপনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসাইন। বন অধিদফতরের সামগ্রিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়।