সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জোড়া খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সবাইকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আব্দুল হান্নান ও শামছু মিয়া। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আব্দুল মান্নান, ইনু মিয়া, রেনু মিয়া, হামদু মিয়া, আফজল, জালাল উদ্দিন, আব্দুর নূর, সবুজ মিয়া, বাবুল আলকাছ, বাদল, রহমত আলীসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে ও বাদী পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০০ সালের ১৯ মার্চ সকালে তাহিরপুর উপজেলার পৈন্ডুপবাজারে সালিশ বৈঠকে যাওয়ার সময় কামদেবপুর গ্রামে আসলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিরা আর্তকিত গুলি করে আরফান আলী ও মতিউর রহমানকে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় নিহতদের স্বজন আতাউর রহমান বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম সবশেষ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলা চলাকালে ৯ জন আসামি স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ও ১৩ জন আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী বলেন, এটি আলোচিত একটি মামলা। এই মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।