বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদি। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এরপর তিনি স্মৃতিসৌধে রক্ষিত শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবার দুদিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে এলেন।
নরেন্দ্র মোদি আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান।
সফরের প্রথম দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে নরেন্দ্র মোদি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওই অনুষ্ঠান শেষে মোদি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তিনি উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী। এরপর মোদি সেখানে তাঁর সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যাবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়া থেকে যাবেন গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করবেন। মোদি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা দেবেন। এরপর বিকেলে ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ঢাকা ছেড়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদি।