দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ৪১তম দিনে ৬৫ হাজার ৩৬৮ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৩৫ হাজার ৩৪২ জন ও নারী ৩০ হাজার ২৬ জন ভ্যাকসিন নেন।
এ নিয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত সারা দেশে ৫২ লাখ চার হাজার ৮২৪ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৯ জন ও নারী ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৪২৫ জন।পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৮ জন।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন নয় হাজার ২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ২৪৭ জন ও নারী তিন হাজার ৭৭৭ জন ভ্যাকসিন নেন।
ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৬ হাজার ৭০৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ নয় হাজার ৬৯৯ জন ও নারী সাত হাজার আট জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ হাজার ৮৩০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭১৫ ও নারী তিন হাজার ১১৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ হাজার ৭৪৯ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরষ সাত হাজার ৪৫০ জন ও নারী ছয় হাজার ২৯৯ জন ভ্যাকসিন নেন।
রাজশাহী বিভাগে সাত হাজার ৯৩৯ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৪৫ জন ও নারী তিন হাজার ৮৯৪ জন।
রংপুর বিভাগে সাত হাজার ৬০৬ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৮৫৪ জন ও নারী তিন হাজার ৭৫২ জন। খুলনা বিভাগে ছয় হাজার ৪১০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫১২ ও নারী দুই হাজার ৮৯৮ জন।
বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৮৯৪ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ২৭৪ জন ও নারী ৬২০ জন এবং সিলেট বিভাগে পাঁচ হাজার ২৩৩ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭৯৩ জন ও নারী দুই হাজার ৪৪০ জন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সেসময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।