সাভারের আশুলিয়ায় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে বাড়ির মালিকের দশ বছরের ছেলে রাজাকে হত্যা করে পালিয়েছেন এক ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ভাড়াটিয়ার স্ত্রী লিজা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের চৌরাস্তা এলাকার কালাম মাদবরের বাড়ি থেকে নিহত রাজার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে সন্ধ্যায় রাজাকে অপহরণের কথা বলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন ভাড়াটিয়া আরিফুল ইসলাম।
নিহত রাজা আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের চৌরাস্তা এলাকায় কালাম মাদবরের ছেলে। সে হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- পাবনার সুজানগর থানার ভাতশালা গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লিজা (২২)। তারা এক মাস আগে এই বাসায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় চা খাওয়ার কথা বলে আরিফুল রাজাকে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে হত্যা করে মরদেহটি বস্তাবন্দী করে বাসার বারান্দায় রেখে পালিয়ে যান ভাড়াটিয়া আরিফ। পরে রাজার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উত্তরায় যেতে বলেন আরিফ।
রাজার বাবা আজাদ বলেন, সন্ধ্যা থেকে আমার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি আরিফ চা খাওয়ার জন্য রাজাকে নিয়ে গেছে। পরে তার স্ত্রী স্বীকার করেন রাজার বস্তাবন্দী মরদেহটি বারান্দায় রাখা আছে। এ সময় রাজার মুখের ভেতরে পুরোনো সাদা কাপড় ছিল। জুতার ফিতা দিয়ে পা ও গলা বাঁধা ছিল।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত জিয়াউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করি। একই সঙ্গে আরিফের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।