ঢাকা মহানগর ও আশপাশের যানজট নিরসনে ৬টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে ৬৭ কিলোমিটার উড়াল এবং ৬১ কিলোমিটার পাতাল রেলসহ মোট ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেল নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সকালে মেট্রোরেল রুট-৫-এর সাউদার্ন অংশের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিস্তারিত নকশা ও টেন্ডার সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডিএমটিসিএলের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানান।
২০২৬ সালের মধ্যে উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে মেট্রো রুট-১ নির্মাণের লক্ষ্যে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন চলমান রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০২৮ মধ্যে উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে মেট্রো রুট-৫-এর নর্দার্ন ও সাউদার্ন অংশ নির্মাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সার্ভে ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়নও চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জি টু জি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে মেট্রো রুট-২ এবং মেট্রো রুট-৪ নির্মাণের উদ্যাোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মেট্রোরেল রুট-৬ নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যেই ডিপোর অভ্যন্তরে রেললাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা হতে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন স্থাপনের কাজও চলছে।
পরে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তাণ্ডবে যে বিএনপি জড়িত, তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি বিএনপি আবারও শুরু করছে। দেশে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সে জন্য বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উসকে দিচ্ছে।
বিএনপি নেতাদের থলের বিড়াল বের হতে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গত ২-৩ দিনের হামলায় তাদের উসকানি দেওয়ার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। বিএনপি তাদের কর্মীদের বাস পোড়ানোর নির্দেশ দিয়ে দেশের সম্পদ বিনষ্টে অতীত ধারাবাহিকতায় প্রমাণ পেয়েছে, হত্যা, সন্ত্রাস আর আগুন সংস্কৃতি বিএনপির অপরাজনীতির কৌশল, যা আবারও প্রমাণ হয়েছে।