ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘নৈরাজ্যের’ পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ‘ইন্ধন’ দেখতে পাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “একটি সংগঠনের ব্যানারে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষ্যে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেটি এমন সময়ে করা হয়েছে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপন করছি।
“এমনকি ২৬শে মার্চ জনগণের সম্পত্তির উপর হামলা হয়েছে, জনগণের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভূমি অফিস, থানা, সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের উপরও হামলা হয়েছে। এ সমস্ত নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।”
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার এই সফরের বিরোধিতা করে আসছিল হেফজতে ইসলামসহ কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দল।
সেদিন দুপুরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ ও সরকারি দলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় একদল লোক। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা থানা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা করলে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে শুক্র থেকে রবি- তিন দিন ব্যাপক তাণ্ডব চালায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা রেলওয়ে স্টেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। আইনশঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে তিন দিনে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়।
রোববার হেফাজতের ডাকে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা হয়।