কতো কথা বাকি রেখে দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় মানুষ। বড্ড অসময়, অনাহুতের মতো। চারদেয়ালে ঘুরে বেড়ায় তাঁদের স্মৃতিগুলো। চৈত্রের ঝড়ো বাতাস কখনও দোলা দিয়ে ব্যথা জাগায়। স্মরণ করিয়ে দেয় পেয়ে হারানোর হাহাকার। বহুমাত্রিক ব্যস্ততায় ভুলতে চাইলেও ছায়ারা এসে কাঁদাতে চায়। ধুসর-ঊষর মানুষ ভাবে-যে চলে যায় তার কি কোনো বিকল্প আছে?
যেমনটি বিকল্প খোঁজেন ঢাকা সিটি এসবির ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া। আজকের এ দিনে হারিয়েছিলেন গর্ভধারিণী মাকে। তিন বছরের ব্যবধানে নিকট ছায়াটিও সড়ে গিয়েছিল। ঘটেছিল পত্নীবিয়োগ। বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকা সিটির ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম। আজকের এ দিনে হারিয়েছিলেন মা উম্মে সালেহাকে। ২০১৬ সালের ১লা এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন তিনি। দিনটি এলেই শোকে মুহ্যমান কৃতি এই পুলিশ কর্মকর্তা। মরহুমা উম্মে সালেহার নাতি নাতনিসহ অন্য স্বজনেরাও ভেঙে পড়েন।
এরই মাঝে ঘটে আরেক দুর্ঘটনা। নিশ্চিত মরণের এ পৃথিবীতে কিছু মৃত্যুর শূন্যতা সহসা যেমন দূর হয় না, তেমনি বজ্রপাতের মতো হঠাৎ আসে বিধ্বংসী সে খবর। মারা যান ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সহধর্মিনী সাবরিনা শারমিন। ২০ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত ছিলেন তিনি। উপসচিব পদে কর্মরত মরহুমা সাবরিনা শারমিনের অকাল প্রয়াণের ব্যথা কোনোদিনই ভুলতে পারেননি তাঁর পুত্র আফনান ও কন্যা ঋদ্ধি। মাঝে মধ্যেই পুত্র-কন্যার চোখের দিকে নি:সীম যন্ত্রনায় চেয়ে থাকেন মোহাম্মদ আলী মিয়া। আর ১লা এপ্রিল এলে বেদনার বেগ ধরে রাখতে পারেন না বাংলাদেশ পুলিশের চৌকস এই কর্মকর্তা। মায়ার জগতে বেঁচে থাকার জন্য এতো অল্পসময় তো নিতান্তই ঘূর্ণিবায়ু। ভেতরটা যেনো দুমরে-মুষরে যায় আফনান আর ঋদ্ধির। বাবা মোহাম্মদ আলী উত্তর খুঁজে পান না। আত্মীয়রা চোখ মোছেন নিভৃতে-গোপনে।
মরহুমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১লা এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন উপসচিব সাবরিনা শারমিন। আজ তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়ার স্বজনেরা মরহুমাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আত্মীয়, বন্ধু, সহপাঠী ও শুভানুধ্যায়ীদের মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করার অনুরোধ জানিয়েছেন।