হামলা ও দলীয় নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ শুক্রবার জুমার নমাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাবেশ। যেখানে সংগঠনটির নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘কেউ যদি চিন্তা করেন, বন্দুকের নল দিয়ে, চোখ রাঙানি দিয়ে হেফাজত ইসলামকে শান্ত করে ফেলবেন তাদের বলব, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্ব মানবাধিকার কর্মীদের কাছে বলতে চাই, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বলতে চাই- যথাযথ তদন্ত করুন। পুলিশি হেফাজতে থাকা আমার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা কীভাবে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি তার জবাব চাই।’
তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসায় সংরক্ষিত ছুরিগুলো কোরবানির কাজে ব্যবহৃত হয়। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নাই। সংবাদমাধ্যমগুলো আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। যথাযথ ঘটনা তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব। আর ভুলক্রমে সাংবাদিকদের ওপর হেফাজতের কিছু কর্মী হামলা করে থাকতে পারে। আমরা এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এ সমাবেশ ঘিরে দুপুর থেকেই মসজিদের উত্তর গেটের ভেতরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় ও এর আশপাশের এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান ও সাজোয়া যান।
প্রেসক্লাব, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকাতেও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়।
এছাড়া, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এদিকে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে।