আগামীকাল সোমবার থেকে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে সরকার ঘোষিত অতিরিক্ত ৬০ ভাগ ভাড়া আদায় করলেও লঞ্চগুলোতে কোনপ্রকার সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। স্বাভাবিকের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চগুলো বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ছে।
সোমবার থেকে লকডাউনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে।
লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই রাজধানী ছাড়ছে নিম্নআয়ের খেটে থাওয়া মানুষ। তবে রাস্তায় বেড়িয়েই তাঁদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। সড়কপথে গণপরিবহন গুলোতে উপচেপড়া ভিড়। নেই কোনও সামাজিক দূরত্ব। সঙ্গে রয়েছে সরকারের নির্ধারিত ৬০ ভাগ অতিরিক্ত ভাড়া। একইচিত্র নৌপথের লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলোতে। এতে নতুন করে মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যাত্রীদের অভিযোগ অতিরিক্ত ৬০ ভাগ ভাড়া দিয়েও কেন ঈদের মতো দাড়িয়ে থেকে পদ্মা পাড়ি দিতে হলো।
বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশ থেকে বার বার মাইকিং করা হলেও কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে সভা করে সরকার ঘোষিত ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অর্ধেক যাত্রী ও ৬০ ভাগ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএ। যদি কোনো কোনো লঞ্চ এই নির্দেশনার বাইরে চলে তাকে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলবাজার ঘাটের ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন।
বাংলাবাজর শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার হচ্ছে। স্বাভাবিক অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ৩০ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এছাড়া দূরুত্ব কম হওয়ায় এই নৌরুট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় পণ্য পরিবহন করেন ব্যবসায়ীরা। তবে লকডাউনের ঘোষণায় যাত্রীদের হার বেড়েছে কয়েক গুন।