করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের বিস্তার রোধে লকডাউনের আদলে দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফায় আপাতত ৮ দিন ১৩ দফা নির্দেশনার এই বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে। ভোর থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে।
এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য পয়লা বৈশাখের সরকারি ছুটি ও প্রথম রোজা হওয়ায় এদিন সড়কে মানুষের চলাচল ছিল একেবারেই কম। তবে বেলা বাড়তে নিত্যপণ্য ও কাঁচাবাজার কিনতে অলিগলিতে কিছু জটলা দেখা গেছে।
নতুন বিধিনিষেধের ১৩ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।’
এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও সেটি কার্যকর হয়নি বললেই চলে।
তবে এবার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না।