বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চারটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। প্রথমে শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রিয়াদগামী বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়। রিয়াদে ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি না পাওয়ায় বাতিল করা হয় ওই ফ্লাইটটি।
অপর তিনটি ফ্লাইট যাত্রী স্বল্পতার কারণে বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দাগামী একটি ফ্লাইটের শিডিউল রয়েছে, যেটি এখন পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, সৌদি আরবে বিশেষ ফ্লাইট নামার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিল না। ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে অনুমতি মিলবে বলে আশা করছি। সেক্ষেত্রে সন্ধ্যা ছয়টার জেদ্দাগামী ফ্লাইটটি ছেড়ে যেতে পারে।
সকাল সোয়া ছয়টায় বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা সকালে বিক্ষোভ মিছিল করে ও ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে সিভিল এভিয়েশনের লোকজন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের অভিযোগ, সময় মতো সংশ্লিষ্ট দেশে যেতে পারলে না তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তারা কেজে যোগ দিতে পারবেন না এবং এ সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে যাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সৌদি আরবে সকাল সোয়া ছয়টা এবং বেলা ২টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইট ছাড়াও দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সকাল সোয়া ছয়টায় বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ২০১ জন যাত্রীকে বিমানের ব্যবস্থাপনায় হোটেল রাখা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাত্রী কম থাকায় দুবাইয়ের ফ্লাইট দুটি বাতিল করা হয়।
তাহেরা খন্দকার বলেন, বিশেষ ফ্লাইট চালুর ঘোষণার পর সব যাত্রীকে মোবাইল ফোনে এসএমএম পাঠানো হয়। আজ দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটের জন্য ২২ ও ২৫ জন যাত্রী পাওয়া গেছে। অথচ এর একটি ফ্লাইটেই ৩০০ যাত্রীর টিকিট নেওয়া আছে। তাই যাত্রী কম থাকায় ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে অন্তত ৩০ হাজার পুরোনো ও নতুন কর্মীর বিদেশে গিয়ে কাজে যোগদানের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। এ কারণে জনশক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
এরপর বৃহস্পতিবার প্রবাসী কর্মীদের জন্য আজ (শনিবার) থেকে পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রীদের করা সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পাবে। এজন্য নির্ধারিত পাঁচটি দেশে হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।