কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহর জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্ট বালু উত্তোলনের মহোৎসব যেন দিন দিন বেড়ে চলছে।প্রশাসনকে বৃদ্ধ আঙুল দেখিয়ে দিন দুপুরে বালু উত্তোলন। চকরিয়া পৌর শহর ভাঙ্গার মুখ ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রায় ৫০০০ হাজার মানুষের বাসস্থান করে, নিতান্ত দরিদ্র এলাকা অধিকাংশ মানুষ নানাভাবে বিভিন্ন পেশার মাধ্যমে দিন মজুরী কাজ করে, কেউ কৃষি কাজ করে কেউ রিক্সা চালাই এহল তাদের সংগ্রামী জীবন সর্বপরী বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ।কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান ৩০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ ৪টি শ্যালো মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দীর্ঘক্ষন এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।জানা গেছে, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কিছু অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী মাতামুহুরি নদীর পাশ্ববর্তী ফসলি জমিতে গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে আসছিল।এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন দুর্ভোগের সীমার শেষ নেই। তাছাড়া বালু উওোলনের প্রদক্ষিণে সনাতনধর্মের ঐতিহ্যেবাহী পুরানো মন্দির দিগর পানখালী কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রপাল মন্দির, ইতিমধ্যে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, হুমকি মুখে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রপাল মন্দির টি,স্থানীয়দের ধারণা আগামী বর্ষের ঢলে হয়তো পুরোনো এ মন্দির তলিয়ে যেতে পারে স্থানীয়রা আরো জানান,রাতের অন্ধকারে মন্দিরের পিছনে মাতামুহুরি নদী থেকে গভীর রাত্রে বালু উওোলন করে।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখ এলাকার মাতামুহুরী নদীর ৪টি পয়েন্টে থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। বিভিন্ন স্থানে ৪ টি শ্যালো মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিলো। এসময় ৪টি শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলা করা হয়।
তিনি আরো জানান, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়।এসময় উত্তোলনকৃত আনুমানিক ৩০হাজার ঘনফুট বালু ও ১হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়।অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।