হেফাজত নেতা মাওলানা ইহতেশামুল হক সাখী ও খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরের সহ-দফতর সম্পাদক ও ইসলামী ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইহতেশামুল হক সাখীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সূত্র জানায়, রাজধানী পল্টন থানায় ২০১৩ সালে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মাওলানা ইহতেশামুল হক সাখীকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় তাকে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবির একটি দল।
অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনা রাজধানী পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় হেফাজত নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের রাজধানী পল্টন থানার দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১ এর একটি দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব সদর দফতরের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন জানান, সাম্প্রতিক সময়ে পল্টন থানায় নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আটক খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীকে আজই সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
গত কয়েকদিনে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ২১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি শারাফত হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০১৩ সালের নাশকতার মামলা ছিল।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন ও মতিঝিল থানায় হেফাজত এ নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়।