গুলশানের যে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে ছয়টি ডায়েরি পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের ‘প্ররোচনায়’ এই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন অভিযোগ করে তার পরিবার ইতোমধ্যে থানায় মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, যে ফ্ল্যাট মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃহদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধারের সঙ্গে ৬টি ডায়েরি পাওয়া যায়। এসব ডায়েরিতে কী লিখা আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ভোরে ওই শিক্ষার্থী বড় বোন বাদী হয়ে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া’র অভিযোগ এনে বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই কলেজ শিক্ষার্থী তার বোনকে ফোন দিয়ে বলেছিল তিনি ‘ঝামেলা’য় আছেন। তখন তার বোন ঢাকায় আসেন এবং সেই ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।