 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৩ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
হত্যা ও নির্যাতনের শিকারদের মধ্যে নিহত হয়েছেন চারজন। এঁদের তিনজন কর্মক্ষেত্রে ও একজন কর্মক্ষেত্রের বাইরে। এছাড়া দুজন আত্মহত্যা করেছেন।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং তিনজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুজন, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চরমভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ছয়জন, এছাড়া তীব্র মানসিক নির্যাতনের শিকার হন অজ্ঞাতনামা একজন। এসব ঘটনার পর সংশিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারা দেশে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন তাদের ৯৫ ভাগেরও বেশি নারী। জরিপে দেখা গেছে যারা হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে।
বলা হয়েছে, বিলসের এই হিসাব দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তির ওপর নির্ভর করে করা, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। কারণ অনেক নির্যাতনের ঘটনায় অর্থ ও চাপের মুখে সমঝোতা করা হয়। গৃহকর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্য অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চান না বা যেতে সাহস পান না। প্রভাবশীলরা অনেক নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফেলেন।
এসব ঘটনায় সুনীতি প্রকল্প এবং গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বিলস।
এছাড়া মনিটরিং সেলের মাধ্যমে ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সার্বিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।