চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এতে বক্তারা বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ঈদের আগে সব শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বজলুর রশিদ, নজরুল ইসলামসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে যখন দুর্ভিক্ষ আসে তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানো হয়, চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল হয়ে যায়। সেই সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারের টাকা লুটপাট করে। মজুদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়। এসবই এখন দেশে দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই এ ধরনের অনিয়ম সম্ভব।
‘বাজারে মনিটরিং জোরদার করতে হবে’, ‘অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে’, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো হোক’, ‘ঈদের আগে মজুরি বেতন-বোনাস দিতে হবে’, ‘বিনামূল্যে চিকিৎসা ও টিকা দিতে হবে’, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে’ এ রকম বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান সমাবেশে উপস্থিতরা।
নিরীহ রিকশা চালকের ওপর জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, ধনীরা তাদের ইচ্ছে মতো চলছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এই রিকশা চালকদের ওপর ঠিকই নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
তারা বলেন, শ্রমিকদের খাটানো হচ্ছে কিন্তু শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বেতন-বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।
টিকা নিয়ে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার নির্দিষ্ট একটি ব্যবসায় গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে এখন টিকার সংকট তৈরি করেছে। অথচ সরকার চাইলে সুশৃঙ্খল ও সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে টিকা দিতে পারতো। এই পুঁজিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত এর সমাধান হবে না। সরকার দেশকে পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।