মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পদ্মা নদীতে স্পিডবোটের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ জনের মৃত্যুর মামলায় বোটের মালিক চান্দু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের এক বাসা থেকে ৩৫ বছর বয়সী চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কেরানীগঞ্জে এক আত্মীয়র বাসায় চান্দু মোল্লা আত্মগোপন করে ছিলেন। গোপন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে বিকেল ৪টায় কারওয়ানবাজারস্থ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
গত ৩ মে সকালে বাংলাবাজার ফেরিঘাট সংলগ্ন কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে স্পিডবোটের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। সেখান থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় শিশুসহ ২৬ জনের মরদেহ। জীবিত উদ্ধার করা হয় স্পিডবোটের চালকসহ পাঁচজনকে।
ওইদিন রাতেই শিবচর থানায় ঘাটের ইজারাদার শাহ-আলম খান, বোটের মালিক চান্দু মোল্লা, রেজাউল হক ও চালক শাহ-আলমের নাম উল্লেক করে আরো অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নৌ-পুলিশের এসআই লোকমান হোসেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আহত বোটচালককে।