‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্ আসমানী তাগিদ।’ করোনামুক্তির প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সাধারণ মানুষের মতো সীমিত পরিসরে ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে কারাবন্দিরাও।
এবার প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর জন্য কতই না ভোগান্তি পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যায় সবাই। তবে কারাগারের বন্দিদের জন্য এদিনটা একটু ভিন্ন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে না পেলেও ভরপুর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে দিন কাটছে তাদের।
কারাসূত্র জানায়, ঈদের দিন সকাল ৭টায় মুড়ি আর পায়েস দিয়ে ঈদ উদযাপন শুরু করে ঢাকাসহ দেশের ৬৮ টি কারাগারের বন্দিরা। প্রতিবার কারাগারের ভেতরের মসজিদে নামাজ আদায়ের পর তারা একসঙ্গে সকালের খাবার খেলেও এবার তারা নিজ নিজ সেলে নামাজ আদায় করেন। সেখানেই পৌঁছে দেওয়া হয় তাদের খাবার। কারাবন্দিরা নিজ নিজ সেলের অন্যান্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
ঈদের দুপুরে বন্দিদের জন্য রয়েছে সাদা ভাতের আয়োজন। এর সঙ্গে তারা পাবেন ডাল, রুই মাছ আর আলুর দম। আর রাতের বিশেষ আয়োজনে তারা পাবেন পোলাও। পোলাওয়ের সঙ্গে থাকবে গরুর মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। এছাড়া যারা গরুর মাংস খাবেন না তাদের জন্য থাকবে খাসির মাংস।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কারাগারের রেওয়াজ অনুযায়ী বন্দিদের ঈদের খাবার দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারই দুই ঈদে তাদের জন্য বিশেষ খাবারের এ আয়োজন করা হয়। আগে প্রতি ঈদে কারাবন্দিরা পরিবারের সদস্যদের আনা খাবার খেতে পারতেন। তবে এবার করোনার কারণে বন্দিদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় তারা খাবার আনতে পারছেন না। তবে তারা পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবেন।