শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাত্রাপথে ২ ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে হুড়োহুড়িতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর ফেরি সার্ভিস গতিশীল হয়েছে। ঈদের পরদিনও শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীচাপ বেশি। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপও বাড়তে শুরু করেছে। চাপ সামাল দিতে এদিনও খালি ফেরি বাংলাবাজার থেকে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে পদ্মা পাড়ি দিয়েও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেল, তিন চাকার ইজিবাইক থ্রিহুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছছে মানুষ।
জানা যায়, ঈদের পরদিন শনিবারও সকাল থেকেই শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে। শিমুলিয়া থেকে আসা প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপও বাড়তে শুরু করেছে। উভয়মুখী যাত্রীর চাপ বাড়ায় ফেরি কম যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে। চাপ সামাল দিতে এদিনও খালি ফেরি বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে এদিনও অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর ঘাট পর্যন্ত এসে নদী পার হয়েও যাত্রীরা কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুণে মোটরসাইকেল, তিন চাকার ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করছে।
বিআইডাব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ী ঘাটের সহকারী ম্যানেজার ভজন কুমার সাহা বলেন, ঘাটে আজও শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। পারাপারের জন্য আমাদের সব ফেরি চালু রয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাংলাবাজার থেকে অল্প যানবাহন নিয়ে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে খালি ফেরি শিমুলিয়া পাঠানো হচ্ছে।